ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়- জানুন বিস্তারিত

বিশ্বের সেরা নাইট ক্রিমপ্রিয় পাঠক, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমার আজকের লেখাটি আপনার জন্য।ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আমার আজকের লেখায়।ফর্সা হওয়ার চাহিদা আমাদের সবার মাঝে রয়েছে।আর অনেকে এই চাহিদা পূরণের জন্য বাজার থেকে কেনা ক্ষতিকর ক্রিম ব্যবহার করছে। 
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
এতে কিছু সময়ের জন্য কাজ করলেও পরবর্তীতে ত্বকের নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করছে।তাই এগুলোর পরিবর্তে ফর্সা হওয়ার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতির ওপর ভরসা করা উচিত।তাই দেরি না করে চলুন জেনে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো কি কি,,

পেজ সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়-জানুন বিস্তারিত

  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
  • বেসন
  • টক দই
  • গোলাপজল
  • কাঁচা হলুদ
  • মধু
  • কমলার খোসা
  • আলুর রস
  • পাকা কলা
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ক্রিম
  • আমার শেষ মতামত

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে হলে আমাদের বেশ কিছু উপাদান এর সাথে পরিচিত হতে হয় যা আমাদের ত্বক কে ভিতর থেকে ফর্সা করে থাকে কোনরকম ক্ষতি ছাড়া।আমরা অনেকেই এসব ঘরোয়া উপাদানের সাথে পরিচিত।


এ সকল উপাদান আমাদের ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ এবং ত্বকের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

তাই চলুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার জন্য যে সকল ঘরোয়া উপাদান কাজ করে থাকে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই,

বেসনঃ 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার অন্যতম একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো বেসন।যুগ যুগ ধরে ত্বকের যত্নে এই বেসন ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।বেসন আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।এছাড়া বেসন মুখের মরা চামড়া দূর এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল তেলে ভাব দূর করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে।

প্রতিদিন গোছলের আগে ১ চামচ বেসন ,১/২ চামচ টক দই ও ১/২ চামচ মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।বিভিন্ন কাজে আমাদের ঘরের বাইরে যেতে হয় সূর্যের তাপে আমাদের ত্বকে কালচে দাগ ও ট্যান পড়ে।

তাই প্রতিদিন বাইরে থেকে আসার পর ১ চামচ বেসনের সাথে ১ চামচ লেবুর রস ও সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

টক দইঃ 

প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ভালো রাখতে টক দই ভালো কাজ করে থাকে।টক দইয়ে থাকা অ্যানটি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করতে বয়সের ছাপ কমাতে এবং শুষ্ক ত্বকে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে থাকে।

ত্বক এর শুষ্কতা দূর করতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে ১/২ চামচ মধু ও সামান্য জলপাই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক নরম হয় ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।

গোলাপ জলঃ 

ত্বকের যত্নে গোলাপ জল প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে থাকে।ত্বকে থাকা বলিরেখা দূর করতে গোলাপ জলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট খুব ভালো কাজ করে থাকে।প্রচন্ড গরমে আমাদের ত্বকের তেল তেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।রোদে পোড়া ত্বকের সতেজতা ফিরিয়ে আনতে এবং তবক কে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে এটি ভাল কাজ করে থাকে।বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক এর সাথে আমরা গোলাপ জল ব্যবহার করে থাকি এছাড়া এটি আমরা সরাসরি তুলা বা কটনের সাহায্যে মুখে ব্যবহার করে থাকি। 

কাচা হলুদঃ 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে যে সকল উপাদান ভামিকা রাখে তার মধ্যে হলুদ বিশেষ করে কাচা হলুদ রূপচর্চায় প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।কাচা হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভালো কাজ করে থাকে।
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
কাচা হলুদ ও নিম পাতা বাটা আমাদের ত্বকের ব্রনের দাগ দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে।বেসনের সাথে কাচা হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।

শুধু মুখে ব্যবহার করে নয় প্রতিদিন রাতে শোবার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে এটি আমাদের ত্বক কে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে থাকে। 

মধুঃ 

অনান্য উপাদানের মতো মধু আমাদের ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।মধু আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে।শুস্ক ত্বককে মসৃণ ও ত্বকে চকচকে ভাব আনতে মধুর ভুমিকা অনেক বেশি।

নিয়মিত মধু মুখে দিলে এটি মুখের কালচেভাব দূর করে এবং মেছতার দাগ দূর করতেও সাহায্য করে থাকে।শীতকালে আমাদের ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায় প্রতিদিন গোছলের আগে ১ চামচ মধু নিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর হয়।

১ চামচ মধুর সাথে সামান্য চিনি ও ২ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়। 

কমলার খোসাঃ 

কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে আমরা ব্যবহার করে থাকি।কমলার খোসা আমাদের ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহাজ্য করে।এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকারী ভুমিকা রাখে।

কমলার খোসার গুঁড়ো প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে মুখের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে। মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কমলার খোসার  ফেসপ্যাক ভালো কাজ করে থাকে।

ত্বকে থাকা ব্রনের দাগ দূর করতে এক চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো হাফ চামচ মধু ও সামান্য হলুদ মিশিয়ে যেসব জায়গায় ব্রণ এর দাগ রয়েছে সেখানে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ব্রনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। 

আলুর রসঃ 

আলুর রস অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের মত আমাদের ত্বক ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আমাদের ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আলুর রস খুব ভালো কাজ করে থাকে।


আলুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক এর টানটান রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।নিয়মিত আলুর রস দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

পাকা কলাঃ 

পাকা কলা খাওয়ার পাশাপাশি মুখে মাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।কলা আমাদের ত্বক নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।পাকা কলার পেস্ট  আমাদের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে।

ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করতে পাকা কলা ও মধু দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক খুব ভালো কাজ করে থাকে।বিশেষ করে শীতকালে আমাদের ত্বক শুষ্ক ও কালচে ভাব হয়ে থাকে।

এটি দূর করতে পাকা কলা সাথে সামান্য মধু ও এক চামচ বেসন দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম করতে সাহায্য করে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার ক্রিমঃ 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে ঘরোয়া ফেসপ্যাক এর পাশপাশি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ক্রিম বা নাইট ক্রিম ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং দ্রুত ফর্সা করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে।ঘরোয়া ভাবে আমরা চাল ও দুধ দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরি করতে পারি।
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
এজন্য দুধের মধ্যে এক চামচ চাল দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে এরপর এটি পেস্ট করে এতে বাদাম তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।এই ক্রিমটি রাতে ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত ফর্সা করতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

এছাড়া আমরা ঘরোয়া ভাবে আলু দিয়ে ও ফর্সা হওয়ার ক্রিম তৈরি করতে পারি যা আমাদের ত্বকের কালচে যে ভাব দূর করে উজ্জ্বল ও চকচকে ভাব আনতে সাহায্য করে।

আমার শেষ মতামতঃ 

প্রিয় পাঠক,আমি আমার আজকের লেখায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার জন্য যে সকল উপাদান ভূমিকা রাখে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করছি আমার আজকের আলোচনা থেকে আপনারা যারা রূপচর্চায় আগ্রহী তারা উপকৃত হবেন।নিত্যনতুন আরো সব বিউটি টিপস পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
   
          

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কন্টাক্ট আর্টিকেল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪