রমজানের ডায়েট চার্ট- ওজন কমান স্বাস্থ্যকর উপায়ে

স্বাস্থ্যকর ৫ টি চায়ের রেসিপি রমজানের ডায়েট চার্ট নিয়ে থাকছে আমার আজকের লেখা।সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান।বছরের অনান্য সময়ের তুলনায় এই সময় আমরা অনেকেই চিন্তায় থাকি কিভাবে আমাদের ওজন কমবে ,কিভাবে খেলে বা কোন নিয়ম মেনে খেলে আমাদের ওজন কমবে এবং আমরা সুস্থ্য থাকবো।
রমজানের-ডায়েট-চার্ট
প্রতিবছর রমজানের এই সময়ে আমি যে ডায়েট চার্ট অনুসরণ  করে থাকি আজ আমি সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

পেজ সূচিপত্রঃ রমজানের ডায়েট চার্ট- ওজন কমান স্বাস্থ্যকর উপায়ে 

  • রমজানের ডায়েট চার্ট 
  • সেহরি খাবার
  • ইফতার খাবার
  • আমার শেষ মতামত

রমজানের ডায়েট চার্টঃ 

আজ আমি আপনাদের সাথে পুরো রমজান মাস জুড়ে যে ধরনের খাবার খেয়ে নিজের ওজন কমিয়ে সুস্থ্য থাকি অর্থাৎ রমজানের ডায়েট চার্ট নিয়ে বিস্তারিত শেয়ার করছি,তবে সেহেরি ও ইফতারের আইটেম শেয়ার করার আগে আপনাদের সাথে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ সেগুলো নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করতে চায় ,

যেগুলো খাবেনঃ 

যে ধরনের খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ বা আমি খেয়ে থাকি সেগুলো হলোঃ 
  • শরীরে শক্তি যোগায় এমন ধরনের কিছু খাবার খেতে হবে যেমন বাদাম।
  • শরীরে যেন পানি শূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে বিভিন্ন হাইড্রেটিং খাবার খেতে হবে যেমন শরবত , তরমুজ এগুলো আমরা খেতে পারি।শরবতের জায়গায় মাঝে মাঝে ডাবের পানিও খাওয়া যেতে পারে। 

  • রমজানে অনেকের হজমে সমস্যা হয়ে থাকে।তাই সেদিকে খেয়াল রেখে হজম প্রক্রিয়া যেন ভালো থাকে এই ধরনের খাবার খেতে হবে যেমন বিভিন্ন ধরনের সবজি ,ফল ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন মুরগির মাংস , ডাল। এগুলো আমরা নিয়ম মেনে খেতে পারি। 

যেগুলো খাবেন নাঃ 

যে ধরনের খাবার গুলো আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলো হলোঃ
  • অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত কেননা এটি হজমে সমস্যা করে এবং দেহে চর্বি জমায়।
  • যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে দেহে পানি শূন্যতা তৈরি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত বিভিন্ন ধরনের খাবার অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার দিনে পানি শূন্যতা তৈরি করে তাই এগুলো আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত।
রমজানের-ডায়েট-চার্ট
  • রমজানে বিভিন্ন ধরনের সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলা উচিত কেননা এটি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত খাবার আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত কেননা এতে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

সেহরি খাবারঃ 

সেহরিতে ব্যক্তিগতভাবে আমি যে ধরনের খাবার গুলো খেয়ে ওজন কমিয়ে থাকি সেগুলো হলোঃ 
  • সেহরির শুরুতেই আমি ১ গ্লাস পানি খেয়ে থাকি।
  • এরপর ১ টি রুটি। আপনারা চেষ্টা করবেন লাল আটার রুটি খেতে সাথে ১/২ কাপ সবজি ও ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম ওজনের এক টুকরো চিকেন যেটি আমি সামান্য লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে সিদ্ধ করে নিই। এগুলো খাওয়ার পর কয়েক মিনিট বিশ্রাম নিয়ে থাকি।
  • এরপর ১ কাপ দই অবশ্যই এটি টক দই হতে হবে। ১ কাপ টক দইয়ের সাথে ২ টি খেজুর ও ৪ থেকে ৫ টি বাদাম মিক্স করে খেয়ে থাকি। 
  • এবং সবশেষে আরও এক গ্লাস পানি খেয়ে থাকি। 
তবে আমার প্রতিদিনের খাবার যে একই খাবার থাকে এমন টি নয়।রুটির জায়গায় আমি কোন কোন দিন ভাত খেয়ে থাকি তবে পরিমাপ করে ভাতঁ খেলে তা ১ কাপ মেপে নিই।চিকেনের জায়গায় মাঝে মাঝে ১ টুকরো মাছ খেয়ে থাকি।


এছাড়া মাঝে মাঝে টক দইয়ের সাথে ১ চা চামচ চিয়া সিড মিক্স করে খেয়ে থাকি।আপনারা  চাইলে সাথে মাঝারি সাইজের যেকোনো  ১ টি ফল খেতে পারেন।

ইফতার খাবারঃ

ইফতারে যে ধরনের খাবার খাওয়া উচিত বা আমি খেয়ে থাকি সেগুলো হলোঃ
  • শুরুতেই আমি ২ টা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করি। এরপর ১ গ্লাস পানি খেয়ে থাকি তবে আপনারা চাইলে মাঝে মাঝে ডাবের পানি বা শরবত খেতে পারেন। 
  • এরপর কিছু হালকা জাতীয় খাবার যেমন আমি কয়েক রকম ফল মিক্স করে সালাদ বানিয়ে খেয়ে থাকি। 
  • অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে আমি কিছু হালকা ও কম তেল যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি যেমন ছোলা , সবজি ও ডিম দিয়ে তৈরি সুপ , বিভিন্ন ধরনের সবজি মিক্স করে রান্না এগুলো খেয়ে থাকি।আমি যে ছোলা টা খেয়ে থাকি তার রেসিপি আমি নিচে শেয়ার করছি। 
রমজানের-ডায়েট-চার্ট
  • একবারে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে খাওয়া উচিত।তাই আমি ইফতারের পর এখন বিশ্রাম নিয়ে তারাবির আগে খেয়ে থাকে।তারাবির আগে আমি টক দই , চিড়া, খেজুর মিক্স করে খেয়ে থাকি এবং খাওয়ার পর ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ হাঁটার চেষ্টা করি।এতে করে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
  • ঘুমানোর আগে আমি ১  গ্লাস পানি খেয়ে থাকি।
এগুলোই আমার সেহেরী ও ইফতারের খাবার। রমজানের ডায়েট চার্ট হিসেবে আমি এই ধরনের খাবার গুলো খেয়ে থাকি। আপনাদের সাথে আমি আমার ছোলার রেসিপি টি শেয়ার করছিঃ

ছোলার রেসিপিঃ

ছোলার এই রেসিপি টি বানানো একদম সহজ। এর জন্য প্রথমে ১/২ কাপ ছোলা ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিব। এরপর ছোলা গুলো একটি বাটিতে নিয়ে তাতে একে একে শশা কুচি ,টমেটো কুচি ,সামান্য বিট লবন , লেবুর রস ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে নেবো।

আপনারা চাইলে এর সাথে কিছুটা ধনিয়া পাতা কুচি করে নিতেপারেন। ব্যাস, তৈরি হয়ে যাবে ছোলার রেসিপি।

আমার শেষ মতামতঃ 

আমি আমার আজকের লেখায় রমজানের ডায়েট চার্ট নিয়ে আলোচনা করেছি।কিভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমিয়ে রমজানে সুস্থ থাকা যায় তা নিয়ে আমার ডায়েট চার্ট শেয়ার করেছি।এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো প্রত্যেকের ডায়েট চার্ট এক হবে এমন নয়।

এখানে আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত ডায়েট চার্ট শেয়ার করেছি।আশা করছি আমার দেওয়া এই রমজানের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে আপনারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে পারবেন।

নিত্য নতুন এমন সব স্বাস্থ্য টিপস পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কন্টাক্ট আর্টিকেল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪